
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥
রামুতে আশির দশকের দক্ষিণ চট্রলার বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মৃত সুখেন্দু বড়–য়ার ২৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার ( ২৪ অক্টোবর) রামু কেন্দ্রিয় সীমা বিহার প্রাঙ্গণে সকাল ৬টায় বুদ্ধ পূজার মধ্যদিয়ে ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী অষ্ট পরিস্কার ও মহা সংঘদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মৃত্যু বার্ষিকী ও পূর্ণময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সাংঘিক ব্যক্তিত্ব একুশে পদকে ও উপসংঘরাজ ভূষিত পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের। অলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিদর্শন বিমুক্তি ১০০শষ্য ফুট ভাবনা কেন্দ্রের প্রতিষ্টাতা পরিচালক করুণা শ্রী ভিক্ষু, রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের আবাসিক ভিক্ষু শীল প্রিয় ও বিশিষ্ট লেখক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষসহ আরও গুণী -জ্ঞাণী ভিক্ষুগণ উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন, রামু প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা ও কনকার উপদেষ্টা দর্পণ বড়–য়া ু, একুটি বাড়ি একটি খামার ও কক্স হিউম্যান রাইট্স ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সুপানন্দ বড়–য়া, রামু রির্পোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সাগর, কক্সহিউম্যঅন রাইট্স ফাউন্ডেশনের মূখপাত্র মীর নাছির উদ্দিন, সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত সুশেন বড়–য়া, পূণাঙ্গ বড়–য়া। উল্লেখ্য: প্রয়াত সুখেন্দ বড়–য়া পরিবহন শ্রমিক হিসেবে জীবন শুরু করলেও অল্প দিনের মধ্যে শ্রমিকের দুঃখ দুদর্শা লাঘবে নিজেকে আত্মো উৎসর্গ উয়ে উঠেন। সকল শ্রমিকদের কাছে প্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং পরবর্তীতে তার হাত দিয়ে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন প্রতিষ্টা হয়। তার মহানুভবতার কথা ছড়িয়ে পড়তে থাকে রামু, কক্সবাজারসহ সারা দেশে। সে সুবাদে স্থানীয় সংগঠন ছাড়াও জাতীয় শ্রমিক সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়নের সাথে সম্পৃক্ত হন। নিজ হাতে গড়ে তোলেন আন্ত জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন ও দায়িত্ব পান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। সে থেকে জীবনের অন্তিম মহুর্ত পর্ষন্ত উক্ত পদে নির্বাচিত হয়ে নিজেকে করেছেন বিকশিত ও আলোকিত। তিনি তৎকালিন প্রিসিডেন্ট এর সাথে পরিচয় ঘটে। তারও প্রতিদান হিসেবে আন্ত জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের অগ্রগতি ও বিকাশের জন্য রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তৎকালিন প্রেসিডেন্ট এর পক্ষ থেকে গণ পরিবহন নামে একটি বিলাস বহুল গাড়ির চাবি তোলে দেওয়া হয় সুখেন্দু বড়–য়ার হাতে। তার সুযোগ্য উত্তরস্বরী হিসেবে সামাজিক ও মানবাদীকার কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে কক্স হিউম্যান রাইট্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ বড়য়া বাঙ্গালী ও তার সুযোগ্য কন্যা কক্সবাজার সরকারী হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স অরুণা বড়–য়া, অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে, বাবুল বড়–য়া, সেবিকা করুণা বড়–য়া, তরুণা বড়–য়া, আরজু বড়–য়া এবং রেখে গেছেন অসংখ্য নাতি-নাতনী।
পাঠকের মতামত